দুপচাঁচিয়া অর্জ্জুনগাড়ী প্রতিবন্ধী মোকছেদ আলীর বাড়ীর জানালা বরাবর খোলা পায়খানা তৈরী থানায় অভিযোগ

মোছাব্বর হাসান মুসা, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ দুপচাঁচিয়া অর্জ্জুনগাড়ী প্রতিবন্ধী মোকছেদ আলীর বাড়ীর জানালা বরাবর খোলা পায়খানা তৈরী থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে। প্রতিবন্ধী মোকছেদ আলীর বাড়ীর পশ্চিম পার্শে আব্বাস আলীর বাড়ি। সে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোকছেদ এর বাড়ীর পশ্চিম কর্নারে একটি মোদ্দা তাল গাছ কে কেন্দ করে দীর্ঘ দিনের শত্রুতা চলে আসছিল।তারা কারনে অকারনে বাড়ীর গড়া পানি যাবার নালা বন্ধ করে দেন।

মোকছেদ আলী উক্ত বিষয়ে তার বাড়ীর ভিতরের টিউবওয়েল ও ছৌচাগার অন্যত্র সরে নেন। তার পরের তাদের বাক বিতন্ডা লেগেই থাকতো। পরে বিবাদীরা আবার তাল গাছ কাটার জন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে। তাদের কথামত কাজ না করায় বিবাদীরা মোকছেদ এর বসবাসকৃত ঘরের জানালা বরাবর উত্তর দক্ষিণ দিক করে প্রায় ৭ ফিট গর্ত করে সেখানে বাঁশের চরাত দিয়ে খোলা জায়গায় তার পরিবারের প্রায় ৮/১০ লোকজন প্রতিদিন পায়খানা করে। খোলা পায়খানা হবার কারনে ঐ পারায় ঢুকতে গেলেই দূর্গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। আশে পাশের বাড়ীর লোকজন ও ঐ খোলা পায়খানা দিবার কারনে বে কায়দায় পরেছেন। তারা কি করবেন তা বুঝতে পারছেন না। উপায় না পেয়ে গ্রামের লোকজন কে বলেও কোন শালিশ না মানায় গত ৩সেপ্টেম্বর দুপচাঁচিয়া থানায় মোকছেদ আলী বাদী হয়ে ৫জন কে বিবাদি করে অভিযোগ দাখিল করেন।

থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহমান এই অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি থানায় অবহিত করার সাথে সাথে আমি একজন এস আই খোরশেদ কে ঘটনা স্থলে পাঠায়। তিনি উক্ত খোলা পায়খানাটি সরেজমিনে দেখে তা ভেঙ্গে ফেলতে আসামী আব্বাস আলীকে নির্দেশ দেন।

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এখন তারা বাড়ীর সকলেই রাতে সেখানে পায়খানা করে থাকেন বলে ভুক্ত ভোগী মোকছেদ আলী সাংবাদিককে জানান। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা পরিবেশ দপ্তরের কর্মকর্তাদের সদয় সু দৃষ্টি দেয়া আশু প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।